ঝিনাইদহ থেকে, তরিকুল ইসালাম তারেক:-
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝিনাইদহে কমে গেছে শীতকালীন সবজির ফলন, বাড়ছে শীতজতিন রোগ। দেশের অন্যতম প্রধান সবজি উতপাদনকারী পশ্চিমের জেলাগুলোতে ভরা মৌসুমে শীতকালীন শাক-সবজির দাম চড়ে গেছে। অন্যান্য বছর এ সময় সব ধরনের সবজির দর পতন হয়। পানির দামে সবজি বিক্রি হতো। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়- ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, ও মাগুরা চাষিরা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠকর্মীরাদের তথ্য মতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কম হচ্ছে। বর্তমানে হাট-বাজারে খুচরা প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ১৫-১৬ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, ওলকপি ৪০-৪২ টাকা, পিয়াজ, ৭০-৮৫টাকা ও কাঁচামরিচ ৭৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
যশোরের সবজি গ্রাম বলে খ্যাত হৈবতপুরের চাষি ইজাজুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ক্ষেতে সবজি কম ধরছে। ১৫ দিন আগে এক বিঘাতে ১০-১২ মণ করে বেগুন ধরছিল। এখন দুই-তিন মণ করে ধরছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ফলন কমে গেছে। এতে দাম চড়ে গেছে। অন্যদিকে কয়েকদিনের অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায় হিলা ওয়ার্ডে কোনো বেড খালি নেই। বহির্বিভাগে অনেক মা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত তাদের শিশু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কবিরপুর গ্রামের ঊর্মি খাতুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তিন মাস বয়সী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে। কোনো ডাক্তার না পেয়ে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দিয়ে সন্তানের জন্য পরামর্শ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। এ ছাড়া ছয় মাসের সন্তান নিয়ে কাতলাগাড়ী গ্রামের শম্পা, ১৭ মাসের সন্তান নিয়ে লক্ষণদিয়া গ্রামের লাভলী, সাত মাসের সন্তান নিয়ে বাগুটিয়া গ্রামের রাবিয়াসহ অনেক মা-বাবা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত তাদের সন্তান নিয়ে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে অবস্থান করছেন বলে তারা জানান।